অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : আজ ৬ জানুয়ারি সোমবার আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম হ্রাস পেয়েছে। ডলারের শক্তিশালী অবস্থান, নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত উদ্বেগ এবং চলতি সপ্তাহে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ ও গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক তথ্য প্রকাশের আগেই দাম কমলো তেলের।
রয়টার্স জানিয়েছে, গ্রিনিচ মান সময় সকাল ৪টা ৪৫ মিনিটে ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচার্সের দাম ২১ সেন্ট বা ০.৩ শতাংশ কমে প্রতি ব্যারেল ৭৬.৩ ডলারে দাঁড়িয়েছে যা গত বছরের ১৪ অক্টোবরের পর সর্বনিম্ন। অন্যদিকে মার্কিন ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুডের দাম ১৯ সেন্ট বা ০.৩ শতাংশ কমে প্রতি ব্যারেল ৭৩.৭৭ ডলারে নেমে এসেছে যা গত বছরের ১১ অক্টোবরের পর সর্বনিম্ন।
গত পাঁচটি লেনদেনের সেশনে তেলের দাম বেড়েছিল। উত্তর গোলার্ধের ঠাণ্ডা আবহাওয়া এবং চীনের অর্থনীতিকে চাঙা করতে আর্থিক প্রণোদনার কারণে বাজারে চাহিদা বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। তবে শক্তিশালী মার্কিন ডলার বিনিয়োগকারীদের নজরে রয়েছে। ফিলিপ নোভার জ্যেষ্ঠ বাজার বিশ্লেষক প্রিয়াঙ্কা সচদেব জানান, ডলারের শক্তিশালী অবস্থান তেল বাজারের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে।
সোমবার ডলার গত দুই বছরের মধ্যে শীর্ষ অবস্থানের কাছাকাছি ছিল। শক্তিশালী ডলার তেল কেনার খরচ বাড়িয়ে তোলে, যা তেলের চাহিদায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বিনিয়োগকারীরা ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হারের দৃষ্টিভঙ্গি এবং জ্বালানি ব্যবহারের বিষয়ে আরও তথ্যের জন্য অর্থনৈতিক খবরে মনোযোগ দিচ্ছেন।
এদিকে, ইরান ও রাশিয়ার তেল সরবরাহে বাধা সৃষ্টি হওয়ায় বাজারের মনোভাব নেতিবাচক হয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলো তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়েছে। বাইডেন প্রশাসন রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা করছে। রাশিয়ান ক্রুড বহনকারী ট্যাঙ্কারগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
গোল্ডম্যান স্যাক্স পূর্বাভাস দিয়েছে, ইরানের উৎপাদন ও রপ্তানি দ্বিতীয় প্রান্তিকে কমতে পারে। নতুন নীতিমালা ও কঠোর নিষেধাজ্ঞার ফলে ওপেক সদস্য দেশটির উৎপাদন ৩ লাখ ব্যারেল দৈনিক হ্রাস পেয়ে ৩.২৫ মিলিয়ন ব্যারেলে নেমে আসতে পারে।
Leave a Reply